Judo Brought by Rabindranath in India : ভারতে জুডো আনেন রবীন্দ্রনাথ

ভারতে জুডো আনেন রবীন্দ্রনাথ

শান্তিনিকেতনে জুডো চর্চা।
জাপানে জুজুৎসু চর্চা দেখে রবীন্দ্রনাথ এই খেলায় আকৃষ্ট হন
১৯২৯-এর নভেম্বরে শান্তনিকেতনে এসে বিশ্বভারতীর জুডো শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন তাকাগাকি।
প্রসঙ্গত, এই তাকাগাকিকে এশিয়ায় জুডোর জনক বলা হয়।
পরবর্তীতে জুডো শিক্ষায় আগ্রহী সুবিমল রায়কে (সত্যজিৎ রায়ের কাকা) তাকাগাকির কাছে নিয়ে গিয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ

দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে অনেকেই জুডো শিখতে শান্তিনিকেতনে এসেছিলেন। বর্তমানে অলিম্পিক্সেও জুডোতে অংশ নেয় ভারত। তবে দেশে জুডো-যাত্রা শুরু হয়েছিল গুরুদেব রবীন্দ্রনাথের হাত ধরেই।
দেশে প্রথম। নিদারুণ অর্থকষ্টের মধ্যেও শান্তিনিকেতনে চালু হয়েছিল জুজুৎসু বা জুডো (Judo)। জাপান থেকে এসেছিলেন দু’জন প্রশিক্ষক। পরাধীন ভারতে নিরস্ত্র মানুষের আত্মরক্ষার হাতিয়ার হিসেবে জুডো চর্চার প্রয়োজনীয়তাকে বুঝেছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (Rabindranath Tagore)। বিশেষ করে মেয়েদের স্বনির্ভর আত্মরক্ষায় জুডোর গুরুত্ব মনেপ্রাণে অনুভব করেছিলেন তিনি। ২৫ শে বৈশাখে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৫তম জন্মদিবস উপলক্ষে ফিরে দেখা সেই ঐতিহাসিক মুহূর্ত
জাপানি জুজুৎসু বা জুডো সম্পর্কে শুনে প্রথমেই আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন রবীন্দ্রনাথ। বঙ্গভঙ্গ আন্দোলনের কাছাকাছি সময়ে শান্তিনিকেতনে এসেছিলেন জাপানের বিশিষ্ট জুডো প্রশিক্ষক সানো জিন্নোসু। সাক্ষাৎ করেছিলেন কবিগুরু রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে। রবীন্দ্রনাথের অনুরোধেই শান্তিনিকেতনে জুডো প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু করেছিলেন জিন্নোসু। এভাবেই দেশে প্রথম শুরু হয়েছিল জুডো চর্চা। আর এই চর্চাকে কেন্দ্র করেই ভারত ও জাপান দুই দেশের সংস্কৃতির মধ্যে যোগসূত্র তৈরি হয়েছিল।

শান্তিনিকেতনের ছাত্রদের মধ্যেও জুডো শেখার আগ্রহ ছিল। সামিল হয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথের (Rabindranath Tagore) পুত্র রথীন্দ্রনাথও। প্রায় বছরখানেক শান্তিনিকেতনে ছিলেন জাপানি প্রশিক্ষক। পরে জিন্নোসু জাপানে ফিরে গেলেও জুডোর কলা কৌশল স্পর্শ করেছিল কবিগুরুর মনকে। তাই আর্থিক বাধা সত্ত্বেও শান্তিনিকেতনে ফের জুডো প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছিলেন তিনি। কবিগুরুর অনুরোধে জুডো প্রশিক্ষক শিনজো তাকাগাকিকে শান্তিনিকেতনে পাঠিয়েছিলেন জাপানের মনীষী ওকুরা। ১৯২৯-এর নভেম্বরে শান্তনিকেতনে এসে বিশ্বভারতীর জুডো শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন তাকাগাকি। প্রসঙ্গত, এই তাকাগাকিকে এশিয়ায় জুডোর জনক বলা হয়। পরবর্তীতে জুডো শিক্ষায় আগ্রহী সুবিমল রায়কে (সত্যজিৎ রায়ের কাকা) তাকাগাকির কাছে নিয়ে গিয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ। তাকাগাকির আন্তরিক উৎসাহ ও চেষ্টায় শান্তিনিকেতনে জুডো চর্চা বেশ জনপ্রিয় হয়েছিল। ভারতের বিভিন্ন জায়গা থেকে অনেকেই জুডো শিখতে শান্তিনিকেতনে এসেছিলেন।
বর্তমানে অলিম্পিক্সেও জুডোতে (Jud0) অংশ নেয় ভারত। তবে দেশে জুডো-যাত্রা শুরু হয়েছিল গুরুদেব রবীন্দ্রনাথের (Rabindranath Tagore) হাত ধরেই।

Leave a Reply